বিশেষ প্রতিনিধি(ঢাকা,)বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি থেকে পদত্যাগ করলেন কমরেড লিয়াকত আলী।
গত ২০/০১/২০২১ সোসাল মিডিয়ায় তার নিজ ফেসবুক আইডিতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়ে কমরেড লিয়াকত আলীর সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি শ্রমিক-কৃষক মেহনতী জনতার অধিকার আদায়ে কাজ করে জানতাম দেখে, শ্রমিক কৃষক মেহেনতি জনতা অধিকার আদায়ে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উক্ত পার্টিতে যোগদান করি। উক্ত পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণীর আন্দোলন সংগ্রাম করে আসলেও বিপ্লবী চেতনায় শুধু তাদের ভিতর প্রতারণা ও ভণ্ডামি দেখা যায়, এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলেও পার্টির সাধারণ সম্পাদক কোন কিছু আমলে না নিয়ে বিষয়টি রহস্যজনক ভাবে আড়ালে রাখে।উল্লেখ্য থাকে যে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি তে যারা কাজ করে আসছে তাদের ভিতর অন্যতম নেতৃত্ব থাকা ব্যক্তিরা দুর্নীতির দায়ে উক্ত সংগঠন থেকে বহিস্কৃত হয় তারা বহিষ্কার হয়ে আলাদা ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো সকলে অবগত,এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। পার্টি অদৃশ্য কারনে আবারো বহিস্কৃতদের স্থান দেওয়ায় বিপ্লবী চিন্তাধারা বাধাগ্রস্ত হতে থাকে। তারা শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের নামে সংগঠিত করার নামে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে, এ সব বিষয়ে পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের কোন কথা নেই অদৃশ্য কারনে। এ সব অনিয়ম দুর্নিতি ভণ্ডামি সাধারণ মানুষকে বিপদগ্রস্ত করা ছাড়া আর কিছু ই করতে পারে না, তার জন্যই গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির অনিয়মের কথা মাথায় রেখে সাধারন কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের কথা চিন্তা করে পার্টি হইতে স ইচ্ছায় পদত্যাগ করিলাম, তবে আলাদা ভাবে মেহনতী মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে বিপ্লবী চেতনায় আমার কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির এ সব অনিয়ম প্রতারনার বিষয়ে পার্টির সাধারন সম্পাদকের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সব বিষয় এড়িয়ে গিয়ে ফোনের লাইন টি কেটে দেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিকনেতা বলেন, আমি তাদের পার্টির সাধারণ সম্পাদক,মোশরেফা মিশু আপা কে ভালো করে চিনি তিনি তো কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে বিপ্লবী চেতনায় কাজ করে আসছে। তার সংগঠন ও পার্টি হইতে প্রায় এ সব তথ্য পাওয়া যায় কয়দিন পর পর অমুক তমুক বহিষ্কার। তাদের পার্টির নিজেদের ভিতর কমরেড মেয়েদের ইভটিজিং করার দায়ে ও বহিষ্কার সহ নানান অভিযোগ রয়েছে গনতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির বিরুদ্ধে, কেন যে তাদের সাধারণ সম্পাদক এ সব লোকদের ঠাই দেয় তাহা সকলের জন্য লজ্জা জনক। এসব কারনে এখন আর কেউ বিপ্লবী চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারছে না, এ সব বিষয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরদারি বাড়ানো উচিত কারা কারা বিপ্লবী চেতনার নামে ভন্ডামী করে সাধারণ মানুষদের বিপদগ্রস্ত করছে