গাইবান্ধা থেকে মোঃ আবু জাফর মন্ডল ঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে গাইবান্ধা জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালত।রায় সূত্রে জানা যায়, আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় হত্যা মামলার আসামি উক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্তের নাম তানজির আহমেদ। তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের সাবু মিয়ার বড় পূত্র। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, পলাশবাড়ী থানার তৎকালিন কর্মরত এস আই ও বর্তমান গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এস আই সঞ্জয় কুমার।
এ হত্যা মামলার বিবরনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ মিডিয়া – সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলা প্রেরণ করেন। শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমান শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ মুল্যবান রায় ঘোষণা করেন।ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বিয়া সম্পর্কৃত ঘটনার জের ধরে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী ২০২০ সালের গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে শাওন হাসান (৩৭) নামে এক যুবকের মরদেহ উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাওন একই গ্রামের সাবু মিয়ার ছেলে। শাওন কোমর পুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মুদির দোকানে ব্যবসা করে আসছিলেন। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত থেকে শাওনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোজাখুজির এক পর্যায়ে ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে ভগবানপুরের কোমরপুর বাজার এলাকায় মৃত আজিজার রহমানের বাড়ির কাছে একটি বায়োগ্যাস প্লান্টের পাশে রক্তের দাগ দেখতে পায় তার স্বজনরা। রক্তের দাগ বায়ুগ্যাস প্লান্ট পর্যন্ত গেলে প্লান্টের ভেতর খোঁজ করে শাওনের লাশ দেখতে পেয়ে তারা পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশটি ইট দিয়ে চাপা দিয়ে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এরপর অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই বেনজীর আহম্মেদ। এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় মোবাইলের কল রের্কডের সূত্র ধরে নিহত শাওনের আপন বড় ভাই তানজির আহম্মেদ কে হত্যাকারী হিসাবে সনাক্ত ও হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে তদন্ত কর্মকর্তা পলাশবাড়ী থানা পুলিশের এস আই সঞ্জয় কুমার। এরপরে আদালতে চুড়ান্ত চার্জশীট দাখিল করে থানা পুলিশ। একটি হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রামাণের ভিক্তিতে দ্রুত রায় প্রদান করায় আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।