নিজস্ব প্রতিবেদক আশুলিয়া :-আশুলিয়া সরকার মার্কেট এলাকায় ক্যাথে এপারেলস নামক পোশাক কারখানাটি বন্ধ হয় গত এপ্রিল মাসে। বিজিএমইএ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের চুক্তি অনুযায়ী কারখানার সমুদয় পাওনাদি দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা থাকলেও প্রথম কিস্তিতে শ্রমিকদের শুধুমাত্র বেতন পরিশোধ করে আজ পর্যন্ত কারখানা শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ। ক্যাথে পোশাক কারখানার মালিক তিনি বারবার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার তারিখ দিয়ে করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে এতদিন পর্যন্ত পার করে নিয়ে এসেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী কারখানা শ্রমিকদের নেতৃত্ব থাকা মোঃ রানার সাথে কথা বলে জানা যায় সসর্বশেষ মালিকপক্ষ আমাদের শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা জুলাই মাসের ২৬ তারিখ ঈদুল আযাহার আগে দেয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষের কোন খোঁজ মিলেনি আমরা বেতন পাওয়ার আশায় সারাদিন কারখানাতে অবস্থান করি। সারাদিনেও মালিকপক্ষের যখন কোন খোঁজ আমরা না পাই তখন আমরা নিরুপায় হইয়া যে যার মত চলে যেতে বাধ্য হই। তিনি আরো বলেন ক্যাথে কারখানার শ্রমিকরা মালিকের প্রতি সম্মান রেখে এখন পর্যন্ত কোনো হাঙ্গামায় শ্রমিকরা জড়ায়নি মালিকপক্ষ আমাদের বারবার বেতন দেয়ার আশ্বাস দিলে আমরাও শ্রমিকদেরকে সেভাবেই বলে থাকি কিন্তু এ মালিক এতটাই জঘন্য এতটাই অমানবিক যে এতদিন পর হলো শ্রমিকদের কোনো বেতন দেওয়ার নামগন্ধ নেই। ভুক্তভোগী সকল শ্রমিকরা এই নিষ্ঠুর কারখানা মালিকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি দাবি করে। শ্রমিকের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যাপারে কারখানার মালিক মোয়াজ্জেম সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি রেগে যান তিনি বলেন আমি বিল্ডিং জমি বিক্রি করতে পারিনাই করোনাভাইরাস এর কারনে আমি টাকা দেবো কোথা থেকে। তিনি আরো বলেন আমি বিল্ডিং জমি বিক্রি করতে না পারলে এবং ব্যাংক থেকে যদি কোন লোন না করতে পারি আমি শ্রমিকদের এক টাকাও দিতে পারব না আমি অনেক চেষ্টা করিতেছি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার জন্য। সর্বশেষ কারখানা মালিক মোয়াজ্জেম আরও বলেন যে আপনারা ফ্যাক্টরি বিল্ডিং জমি বিক্রির ব্যাপারে সহযোগিতা করেন তাহলেই তো শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আমি পরিশোধ করতে পারি। বিজিএমইএ চুক্তি ও শ্রমিক ফেডারেশনের শ্রমিক প্রতিনিধিদের চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিক নেতা সোহাগের সাথে এই ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন। ক্যাথে পোশাক কারখানার মালিক অতি ধূর্ত একজন ব্যক্তি তিনি শ্রমিকদের আজ বেতন দেবো দুইদিন পরে বেতন দেবো এইভাবে উনি প্রতিটা ডেট মিস করে এই করোনা কালীন মহামারী সময় একটা নিষ্ঠুর অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে এই মালিক। মালিকের সাথে বারবার যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কারখানা বিল্ডিং জমি বিক্রি না পর্যন্ত আমি শ্রমিকদের কোনো টাকা-পয়সা দিতে পারিব না আপনার যা খুশি তাই করেন। শ্রমিক আমার বিল্ডিং আমার জমি আমার কারখানা আমার আমি শ্রমিকদের সাথে কথা বলে আমি বিষয়টা আলোচনা করে নেব আপনারা এই ব্যাপারে বেশি বিরক্ত করবেন না। শ্রমিকনেতা সোহাগ বলেন কারখানার শ্রমিকরা অত্যন্ত ধৈর্যশীল এবং ভদ্র শ্রমিক যার কারণে মালিক এত সুযোগ নিতে পেরেছে। শ্রমিক নেতা সোহাগ বলেন যেহেতু শ্রমিকরা করোনা কালীন মহামারীর সময় বিপদে আছে সেহেতু শ্রমিকদের বকেয়া বেতন অনতিবিলম্বে খুব দ্রুত পরিশোধ করার দাবি জানান এই নেতা। অন্যথায় কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।