আশুলিয়া প্রতিনিধি :-আশুলিয়া পোশাক শ্রমিক হামিদ (২৫)কে কারখানার ভিতর মারধোরের ঘঠনায় থানায় অভিযোগ । ভুক্তভোগী শ্রমিকের কাছ থেকে ও অভিযোগের কপি থেকে জানা যায় ২৩/০৮/২০২০ তাকে মারধোর করা হয়,,বিস্তারিত,,, শ্রমিক হামিদ অসুস্থতার জন্য একদিনের এপসেন্ড করায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এডমিন আজগড় আলি তাকে চেম্বারে ডেকে তার আইডি কার্ড রেখে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করে শ্রমিক আইডি কার্ড দিতে অস্বীকৃতি জানালে কারখানর এডমিন বিভাগের সামির ও আজগড় নামে দুইজন শ্রমিককে জি আই তার দিয়ে মারধোর করে তার আইডি কার্ড কেড়ে নেয় এবং তাকে কারখানা থেকে বের করে দেয়। কারখানা থেকে শ্রমিক হামিদ বের হয়ে সাভার উপজেলা থানা সাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে স্ব শরিরে আশুলিয়া থানায় উপস্তিথ হয়ে সাভার উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা পত্র নিয়ে পাইওনিয়ার ক্যাজুয়াল নামক পোশাক কারখানার এডমিন সামির ও আজগড়ের নামে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে আশুলিয়া থানা পুলিশ সার্বিক বিবেচনায় তাৎক্ষনিক শ্রমিক হামিদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারন ডায়েরি অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। ভুক্তভোগী শ্রমিককে মারধোরের বিষয় অভিযুক্ত এডমিন আজগড়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের নামে যে অভিযোগ শ্রমিক হামিদ নিয়ে আসছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বর্তমান পরিবেশে কোন কারখানায় শ্রমিককে মারধোর করার কোন পরিবেশ আছে আমরা শ্রমিক হামিদ কে কেন মারবো সে বিনা অনুমতিতে অনুপস্তিথ থাকায় আইনঅনুযায়ি তাকে এডমিন বিভাগ থেকে তার অনুপস্থিতির কারন জানতে চায়। সে কোন সদুত্তর না দিয়ে কারখানা থেকে চলে গিয়ে নিজের শরীরে মনে হয় আঘাত করে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে সকলের কাছে। এডমিন আজগড় আরো বলেন যদি শ্রমিক চাকরি না করতে চায় তাহলে সে রিজাইন দিয়ে চলে যাবে আমরা তাকে তার প্রাপ্ব মুজুরী দিয়ে দিবো। শ্রমিকের অভিযোগের বিষয়ে জিডির আইয়ু এস আই তারেকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন শ্রমিকের অভিযোগের বিষয়ে আমি তদন্ত করতে গিয়েছি কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেন শ্রমিকনেতাদের মাধ্যমে জিডি করা হয়েছে শ্রমিক হামিদ কে নিয়ে শ্রমিকের নেতা কবিরের সাথে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে আর কারখান থেকে শ্রমিককে কে মারবে কর্তৃপক্ষ শ্রমিককে কোন মারধোর করে নি। অন্যদিকে বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আশুলিয়া কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা কবিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কারখানার ভিতর শ্রমিকের গায় হাত তোলা ভয়ভীতি প্রদর্শন করা এটা মেনে নেয়া যায়না কারখানা কর্তৃপক্ষ মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করছে তবে শ্রমিক হামিদ অথবা আমার সাথে কারখানার কারো সাথে কথা হয়নি তবে দুই একজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ভুক্তভোগী রিজাইন দিয়ে আসলে তার প্রাপ্ব পাওনাদী পরিশোধ করবে।আমি শ্রমিককে মারধোরের বিষয়ে তিব্র নিন্দা জানাই এবং ভুক্তভোগী শ্রমিকের ওপর যে অন্যায় হয়েছে তার বিচার কামনা করছি ও শ্রমিকের আইনানুগ পাওনাদী দাবী করছি। তিনি আরো বলেন পাইওনিয়ার নামক পোশাক কারখানায় প্রতিনিয়ত শ্রমিকের সাথে শ্রম আইন ভেঙ্গে অসদাচরণ করা হয় ও একই দিনে নয়ন নামের আরো একজন শ্রমিকের কাছ,থেকে আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে বের করে দেয় সে বিষয়ে ও থানায় ও শিল্পাঞ্চল পুলিশের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়।।।