কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নারী পর্যটক
এ সময় তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী পর্যটক। তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ৩ জন যুবক মিলে ওই নারী পর্যটককে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায় র্যাবের একটি দল।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান র্যাব-১৫ এর কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিল ওই পর্যটক দম্পতি।
ওই নারীর বরাতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, “গত মঙ্গলবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী পর্যটক। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। সেখান থেকে বিকালে যান সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে; কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় ওই নারীকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিন জন। এরপর তাকে নেওয়া হয় একটি হোটেলে। সেখানে আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে তার সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষটি বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
মেজর মেহেদী হাসান আরও বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটককে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টম ক্রাইসিস কক্ষে প্রেরণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে জানান, “এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনা শুনে পুলিশের পক্ষ থেকে মাঠে নেমেছে পুলিশের একটি দল। ধর্ষণের শিকার ওই নারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে শুনেছি।”