নিউজ ডেস্ক ঢাকা:- গাজিপুর কাশেমপুরে পোশাক শ্রমিক রিতুর ধর্ষনের সহযোগীদের গ্রেফতার ও গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন। গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার হাজী বাড়ির মতিন গেট এলাকার ড্রিম নিটওয়্যার লিমিটেডের পোষাক শ্রমিক রিতুর ধর্ষকদের সহোযোগিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর)সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চ এবং বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরামের যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবি তোলা হয়।এ সময় পোশাক শ্রমিক রিতুর সহকর্মীরা উপস্তিথ ছিলেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরামের সভাপতি আবুল হোসাইনের সতাপতিত্বে ও মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশনের সভানেত্রী সালেহা ইসলাম সান্তনার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- শ্রম অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, কৃষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, রেডিমেড গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভানেত্রী লাভলী ইয়াসমীন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, সুমাইয়া ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, রিতুর সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জল, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভানেত্রী শামীম আরা শিরিন, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন,বাংলাদেশ কিষাণী সভার নেত্রী রোহেনা বেগম গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কাস লীগের কেন্দ্রিয় দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান সোহাগ সহ অন্যানো নেতাকর্মী বৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২১ অক্টোবর দিবাগত রাতে ড্রিম নিটওয়্যার লিমিটেডের পোশাক শিল্প শ্রমিক রিতু কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন। নেতারা রিতুর ওপর এ ধর্ষণের নিন্দা জানিয়ে ধর্ষক ও ধর্ষকদের সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ সময় শ্রমিকনেতারা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে, পোষাক শিল্পে এ ধরণের হীন ও বর্বরোচিত ঘটনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জ্বল বলেন আমার সহকর্মী কে বাসায় পৌছে দেওয়ার সময় আকতার মোল্লা নামক ব্যক্তি প্রথমে আমাদের দুইজন কে রাস্তায় আটকায় তার পরে রিতু গনধর্ষনের স্বীকার হয় পুলিশ আকতার মোল্লা ও আরো একজন কে সহ মোট পাঁচজন কে গ্রেফতার করলেও আকতার মোল্লা সহ তার অন্যতম সহযোগী কে ছেড়ে দেয় কোন অদৃশ্য কারনে, আমরা এখন চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছি, আদো আমরা কি ধর্ষনের সঠিক বিচার পাবো কিনা
ধর্ষন ঘটনায় আটক হওয়া ব্যক্তি ও ধর্ষন মামলার অগ্রগতি বিষয়ে কাশেমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মাহাবুবে খুদার কাছে মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ধর্ষনের বিষয়টি শোনা মাত্র অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি,নিয়মিত ধর্ষন মামলা রজু করে আসামীদের কোর্টে প্রেরন করেছি, এবং ভুক্তভোগী কিশোরী কে মেডিকেলে পাঠিয়েছি তার চিকিৎসা চলছে, আসামী আকতার মোল্লা ও তার সহযোগী কে ছেড়ে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুক্তভোগী ধর্ষনের স্বীকার রিতু উউর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সামনে আকতার মোল্লা ও তার সহযোগী কে সনাক্ত করতে না পারায় তাদের জিগাসাবাদ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং সনাক্ত কারি তিনজন আসামী কে কোর্টে প্রেরন করা হয়। যদি ধর্ষনের স্বীকার ভুক্তভোগী কিশোরী তাদের সনাক্ত করতো তাহলে আমরা তাকে অবশ্যই গ্রেফতার করতাম, তবে ধর্ষনের মামলার বিষয়টি নিয়ে আমরা পি বি আই সহ গোয়েন্দা সংস্থা নিবির পর্যাবেক্ষন করছি আসামী যে হোক তাদের ধর্ষন মামলায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।