টিকটক চক্রের খপ্পরে পড়ে অপহৃত ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর থানা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৪ঃ অপহরনকারী চক্রের ০১ সদস্য গ্রেফতার।
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি মনুষ্য অপরহরণকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী তার রুপনগর থানাধীন এলাকায় বাসা থেকে স্কুলে যাবার কথা বলে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পিতা। কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার কন্যা বাড়িতে ফেরত না আসায় পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পিতা র্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করে। যার প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল এটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর উক্ত অভিযানিক দল গত ২০ ডিসেম্বর রাত ০৮ঃ১০ ঘটিকা হতে ২১ ডিসেম্বর ১২ঃ০৫ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের অন্যতম হোতা মোঃ তারেক (২০), জেলা- লক্ষীপুর’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অপহরণকারীরা একটি টিকটক গ্রুপের সদস্য। দুই বছর আগে ভিকটিমের সাথে টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এই গ্রুপে ৫/৬ জন সদস্য রয়েছে যারা ঘন ঘন লাইভে এসে একে অপরের সাথে বাক্য বিনিময় এবং তথ্য আদান প্রদান করে। তারেক নবম শ্রেণী পযর্ন্ত পড়াশোনা করে বর্তমানে একটি দোকানে চাকুরী করতো। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা স্কুলপড়ুয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালিত করতো। তারা অত্যন্ত ধুরন্দর প্রকৃতির। উক্ত টিকটক গ্রুপের সদস্যরা নানা অপকর্মে লিপ্ত। তারা টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেনামী পরিচয় ব্যবহার করত। অপহৃত ভুক্তভোগী বেশ কিছু দিন ধরে এই টিকটক গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিল। নিখোঁজ হওয়ার দিন অপহৃত ভুক্তভোগী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয় এবং গ্রেপ্তারকৃত তারেক বিভিন্ন প্রলোভনে ভুলিয়ে তাকে ঢাকা রুপনগর থেকে সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হয়ে লঞ্চে করে চাদঁপুর পরবর্তীতে লক্ষীপুর নিয়ে যায়। ভিকটিমের পরিবার তাকে খুঁজে পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছে জানতে পেরে ভিকটিমকে সুকৌশলে উক্ত লক্ষীপুর থেকে কক্সবাজার গিয়ে হোটেলে অবস্থান করে। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সেখান থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ শিশু অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।