ঢাকার ধামরাই পষ্টিটিউট মহিলার মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা এজহারভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। লোক লজ্জায় কাউকে কিছু বলতেও পারছে না।
জানা গেছে, ধামরাই পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আইনঙ্গন এলাকার বসতি আকলিমা আক্তার আঁখি (৩৯) তার ৪ বছরের কন্যাশিশু দিয়ে বিত্তবানদের বাড়িতে গিয়ে নানান রকমের তালবাহানা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাই তারা করে। যদি তার ফাঁদে কেউ পা না দেয়? তাহলে তার ওই কন্যা শিশুটিকে অশালিন কথা শিখিয়ে প্রথমে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করেন। যদি তাতেও কাজ না হয় সংবাদকর্মীদের খবর দেয়। এবং মিমাংসা প্রস্তাব রাখে। মিমাংসা হওয়ার কিছুদিন পর আবার শুরু হয় নতুন তালবাহানা। এর প্রতিবাদ করলে তার নামসহ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। সেই ফাঁদে পরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলেক জেল হাজতে দিন পার করছেন। একই মিথ্যা মামলায় ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক করতোয়া, আমার বাংলা নিউজের সাংবাদিক শাহীন আলম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আকলিমা আক্তার আঁখি বলেন, মেয়ের যৌনাঙ্গে হাত দিয়েছিল আলেক পরবর্তী সময়ে মিমাংসা হয়। তবে আমার মনপুত না হওয়া আমি থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করি তবে আমি কোন সাংবাদিকের নাম মামলায় দেইনি। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক ওয়াসিম ও সাবেক কাউন্সিলর লাঁলমিয়া শালিস করে দেয়। সাংবাদিক শাহীন আলম শুধু উপস্থিত ছিল কিন্তু সাংবাদিক শাহীন আলমের বিরুদ্ধে কিভাবে মামলা হল আমি জানি না।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ই মে করোনায় লকডাউন চলা অবস্থায় ধামরাই পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আইনঙ্গন মহল্লার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলেকের বাড়িতে প্রবেশ করেন কন্যা শিশুর মা আকলিমা আক্তার আঁখি। করোনায় লকডাউনের কারণে ওই বাড়ি থেকে করোনা আতঙ্কে কন্যাশিশুসহ আকলিমা আক্তারকে বেড় করে দেয় বাড়ির কর্তা আলেক। পরবর্তী সময়ে কন্যাশিশুটিকে বাজে কথা শিখিয়ে ১৯ই মে ধামরাই থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন কন্যাশিশুর মা আকলিমা। ২০ মে মামলা এজহারভুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম শাহীন আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন প্রতিটা সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাস্থলে যাওয়া। আমার এক সহকর্মী ওয়াসিম হোসেন ঘটনার তথ্যটি নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে আমি শুধু ওর সাথে যাই। যেখানে যা করা দরকার সবই ওয়াসিম হোসেন করেন। আমি শালিসে শুধু যাওয়াতেই যদি আসামী হই তাহলে ওয়াসিম সাংবাদিকেরও আসামী হওয়া উচিৎ বলে মনে করি। জানি না কোন অদৃশ্য শক্তি তার নামটি রাখেনি। তবে পুলিশের কাছে অনুরোধ ঘটনার পুনঃরায় তদন্ত করার।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সেকান্দার আলী প্রসঙ্গ এগিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, অভিযোগের বিষয় পুনঃরায় তদন্ত করে দেখা হবে।