বিপ্লবী সাকিব, পার্বতীপুর, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হলদি বাড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য বিজ উৎপাদন খামারটি উত্তরাঞ্চলের মাছ চাষিদের নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখানকার মাছের পোনা খুব ভালো মানের হওয়ায় মাছ চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছে বলে একাধিক খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি বিশেষ করে(হোয়াইট গোল্ড)খ্যাত গলদা চিংড়ি উৎপাদনেও বেশ সফলতা অর্জন করেছে। যা উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে।অত্র খামারের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মুসা কালিমুল্লাহ জানান, মৎস্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডঃ মোহাম্মদ সাইনার আলম ও দিনাজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রেজাউল করিমের দিকনির্দেশনায় এই সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।মোট ২০ হেক্টর জমির মধ্যে অবস্থিত এই প্রজেক্টটিতে শুধু জলাশয় রয়েছে ৮.১৫ হেক্টর জমি।পুকুর রয়েছে ৪৬ টি। বর্তমান এই খামারটিতে ২১জন সরকারি কর্মকর্তা,৬ জন মাস্টার রোলে ও ৮-১০জন ডেইলি শ্রমিকদের নিয়ে জোরদার প্রচেষ্টা চালিয়ে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করেছি।আমার বিশ্বাস,এখন এই খামারটি উত্তরাঞ্চলের মাছ চাষিদের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। বর্তমান এখান থেকে সরকার প্রতি বছর প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা রাজস্ব পায়।আর এখনকার সবচেয়ে বড় সফলতার বিষয় হল গলদা চিংড়ি(হোইট গোল্ড)’র পোনা উৎপাদন সফলতা অর্জন করায় যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, এই খামার থেকে যেন মোটামুটি ভাবে পুরো দেশের মাছ চাষিদের চাহিদা পূরণ করতে পারি।এবং এখানে সেটির ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। এখান থেকে যে কোন ধরনের মাছের পোনা উৎপাদন করা সম্ভব। জাতির কল্যাণে আমাদের প্রচেষ্টা সর্বদাই অব্যাহত থাকবে। বর্তমান সরকার এই সব বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তাই আমাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে কোন বাঁধা নেই। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং এই খামারটিকে আরো উৎপাদন যোগ্য করে তুলতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সুদৃষ্টির পাশাপাশি এলাকার সচেতন মহল ও সংবাদকর্মী ভাইদেরও সহযোগিতা কামনা করছি।
খামার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ও (হোয়াইট গোল্ড) খ্যাত গলদা চিংড়ি বিষয়ে কথা হয় পার্বতীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন,বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মৎস্য খামারে গলদা চিংড়ির প্রজেক্টটি গত ১৯ বছর পূর্বে শুরু হলেও এর সফলতার মুখ দেখলো বর্তমান খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লার নেতৃত্বে।গলদা চিংড়ি উৎপাদনেও নির্ধারিত লক্ষমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। অথচ,ইতোপূর্বেও এই সময়ের মধ্যে ৪ জন খামার ব্যবস্থাপক দায়িত্ব পালন করে গেছেন।তেনারা এই বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন সাড়া জাগাতে পারেননি।
বিপ্লবী সাকিব,
পার্বতীপুর, দিনাজপুর প্রতিনিধি
তারিখঃ১০/০৮/২০২০ইং
মোবাইলঃ০১৭৫১২২২২৭৯.