মোঃ সোহাগ হোসেন :-নকল সাংবাদিকের ছড়াছড়ি ইয়াবাসহ আনন্দ টিভির সাংবাদিক আটক।
শেখ আশিকুর রহমান বাবু
কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে আনন্দ টিভির বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি সিহাব উদ্দিন রুবেল (৩৭) সহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে,সিহাব উদ্দিন রুবেল বাগেরহাট জেলার ফকিরটের পাগলা শ্যামনগর এলাকার শেখ হেমায়েত উদ্দিনের পুত্র।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা চলছে। তারা পত্রিকায় খবর ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। অনেকে থানায় দালাল হিসেবে আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে মধ্যস্থতা করে থাকে।
উপজেলার বিভিন্ন বয়স্ক ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে শুরু করে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে সাংবাদিক নামধারী কিছু চক্র। নানা অপকর্ম করতে এসব সাংবাদিক নানা নামে সংগঠনও গড়ে তুলেছে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার জন্য।
তাদের দিন শুরু চাঁদাবাজি দিয়েই সাংবাদিকদের মতো তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হন বুম কিংবা ক্যামেরা নিয়ে। বোঝার কোনো উপায় নেই যে কে নকল, আর কে আসল
এছাড়া, তাদের মোটরবাইকেও লাগানো থাকে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার এরা এমনভাবে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার ক্যামেরায় লাগিয়ে নেয় এটা কি টেলিভিশন ? চ্যানেলের বুঝা বড় দায় এখনত শত শত ইউটিউব টেলিভিশন চ্যানেলের বের হয়েছে তা কোনটা আসল আর কোনটা নকল বুঝা বড় দায়।
এদের কাজহলো মানুষকে বোকা বানিয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকার চাদাবাজী করা আর রাত হলে থানার গেইট বিভিন্ন মামলার তদবির এবং উপজেলায় দূর দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন অসহায় মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এদের কাজ।এদের কারনে পুলিশ সদস্যরাও কাজ র্কম করতে সমস্যার সম্মখিন হন।
সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ।
এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন দপ্তরে অডিট কর্মকর্তাদের মতন, এমনকি রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে করছে রমরমা ব্যবসা ।মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্থানে র্যাবের হাতে ভুয়া সাংবাদিক, সোর্স সাংবাদিক, প্রতারক সাংবাদিকরা গ্রেপ্তার হন। তবুও থেমে নেই সাংবাদিকরা।
এদের পেশা ও নেশা সব যেন সাংবাদিকতা নিয়ে।রাত পোহালেই বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়ানোই এদের কাজ নেই কোনো চাকরি বা ব্যবসা তারপরও দামি গাড়ি দামি পোশাক এমনকি চড়া মূল্যে জমি ক্রয় এসবের উৎস কোথা থেকে?তবে কি ধরে নিতে পারি সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন নাকি আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়া
বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়।তারা শুধু পত্রিকা বা অনলাইনের আইডি কার্ড বহনই করেন না বরং মূল ধারার জাতীয় দৈনিক কিংবা টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মানুষকে জিম্মি করছেন। বেশ কিছু অখ্যাত পত্রিকা এবং অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।
এসব অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ার কোন কথাই নেই সাংবাদিক এর অভাব নেই। এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন।
স্থানীয় থানা পুলিশের একশ্রেণীর কর্মকর্তার সঙ্গেও তাদের বেশ সখ্য রয়েছে। অনেকে পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে। তাদের অনেকে এমপি, মন্ত্রী এবং পুলিশের আইজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে।
তথ্য সূত্র :এস কে বাবু