করোনা কালীন সময়ে দেশের প্রায় সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোকজন এখন বর্ষার মৌসুমে নৌকা নিয়ে ঘুরাঘুরিকেই আনন্দ উপভোগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে কিন্তু এতে নানান সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি ঘটছে জীবন হানির মতো দুর্ঘটনা।এক শেণীর উর্তি বয়সের ছেলেরা নৌকায় সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে অদ্ভুত বাজনার সাথে নিচু মানের হিন্দি গান বাজিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নাচানাচি করে যা শুনতে ও দেখতে খারাপ লাগে এবং পিকনিক বা বনভোজন নামের এই সকল নৌযান যখন উচ্চ সুরে গান বাজিয়ে যায় তখন মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতেও সমস্যার সৃষ্টি হয় এতে করে সুশীল ও আলেম সমাজে বিরোপ প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে তারা যুব সমাজের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ রোধে এই ধরনের পিকনিক বা বনভোজন বন্ধে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এই বিষয়ে স্থানীয় অরুয়াইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাপন চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিউজ২৪ বার্তা.কম কে বলেন,বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও অনেক ক্ষতিগস্থ তার উপরে দেশের প্রায় সব অঞ্চলে এখন বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌ দুর্ঘটনা ঘটছে আবার ইদানিং এই ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে অরুয়াইল-পাকশিমুল সহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের যুবক ছেলেরা নৌকার মাঝে সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে গান বাজনা করে ঘুরে বেড়ায় যা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির সাথে জীবনহানির মতো নৌ দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে যা স্থানীয় লোকজন আমাদের নজরে আনেন ও আমরা স্ব উদ্যোগে আজ অভিযান চালিয়ে অরুয়াইল ব্রিজের নীচে তিনটি নৌ আটক করে তাদের বুজিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়
এবং অরুয়াইল বাজারে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়াটিয়া লায়েছ মিয়া ও তার ছেলে মনিরকে বলেদিয়েছি আর যেন সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া না দেয়।তিনি আরো বলেন এই অপসংস্কৃতি বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।উল্লেখ্য বিগত কিছু দিন আগে অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন হাওড়ে বেড়াতে গিয়ে নৌকা ডুবে কয়েক জন ভ্ৰমন কারী প্রাণ হারান এবং গত মঙ্গলবার নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ হাওড়ে নৌকা নিয়ে বেড়াতে গিয়ে একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক সহ প্রায় আঠারো জন ভ্রমণকারী নৌকা ডুবে প্রাণ হারান।