ঢাকা মহানগরীর দারুস সালাম ও শাহ আলী থানাধীন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করাকালে ০৭ জন চাঁদাবাজ’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে ঢাকা জেলাসহ নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সংক্রান্তে কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্তে নামে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যাতে দেখা যায় যে, এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অবস্থান নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট হতে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সংগে থাকা দামি মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে। মূলত তারা একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রুপের তাদের সদস্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের’কে আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৯/১২/২০২১ তারিখ ১৩.১০ ঘটিকা হতে ১৫.১০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরীর দারুস সালাম ও শাহ আলী থানাধীন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করা কালে চাঁদাবাজীর নগদ ২৫,৮০০/- টাকা ও ০৮ টি মোবাইল সহ নিন্মোক্ত ০৭ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ
(১) মোঃ বাদশা মীর (৩৯), জেলা-বরগুনা।
(২) মোঃ উসমান (৪০), জেলা-চাঁদপুর।
(৩) মোঃ আব্দুল মান্নান (৩৫), জেলা-মুন্সিগঞ্জ।
(৪) রাম বাহাদুর (৫৭), জেলা- ঢাকা।
(৫) মোঃ জাহিদ (৪২), জেলা- বগুড়া।
(৬) মোঃ বাবু (৩২), জেলা- মানিকগঞ্জ।
(৭) মোঃ আব্দুর রব @ মতিন (৭০), জেলা- ঢাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীরা উক্ত এলাকার পেশাদার চাঁদাবাজ। ধৃত আসামীরা সহ পলাতক অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন আসামী পরষ্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত বর্ণিত ঘটনাস্থলের বিভিন্ন দোকান হতে ২৫০/৩০০ টাকা এবং লেগুনা হতে ৭৫০/- টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল। কেউ চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তারা তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি ও উক্ত স্থান হতে দোকান উঠিয়ে এবং লেগুনা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক চাঁদার টাকা আদায় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াসি অভিযান অব্যাহত থাকবে।