নাজমুল হক ইমু:-নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ এর সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে একের পর এক মরদেহ বের করে আনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫২ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মর্গে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রুপগন্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপেক্ষারত স্বজনরা জানান, সারারাত অপেক্ষা করেছি এখনো করছি জীবিত না পেলেও যেন মরদেহ পাই। এখন অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
এদিকে, অনেকেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচার চেষ্টা করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের অনেককেই স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকা মেডিক্যালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল ভোরের দিকে, সকালে আবারো বেড়ে যায় আগুন। আমরা কাজ করছি। লাশের সংখ্যা জানানো হবে ।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানায় প্রায় ৬/৭ হাজার শ্রমিক কাজ করেন,সাত তলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে থাকে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন।এসময় লাফিয়ে পড়ে আরো দুইজন শ্রমিক মারা যান।
এ বিষয়ে গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কাস লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিুবল ইসলাম সোহাগ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, অনতি বিলম্বে কারখানার দায়ী ব্যক্তিদের তদন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে নিহতের পরিবার কে এক জীবনের ক্ষথি পুরন দেওয়া সহ আহত ব্যক্তিদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। শিল্প-কলকারখানা কাজে যে সকল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত সে সকল অফিসারদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।